শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চবি ভিসি বলেন, আমাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবে চলবে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি আরও বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্ব নেবে প্রশাসন। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের যাবতীয় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রশাসন করবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে চবি ক্যাম্পাস। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মূল ফটক অবরুদ্ধ করে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ শাটল ভ্রমণ ও বগি বৃদ্ধি’সহ বিভিন্ন দাবি জানান। এরমধ্যে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে থেকে একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর রব উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপর রাত রাত সোয়া ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর করেন। বাসভবনে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন ভেঙে ফেলেন। যদিও উপাচার্য শিরীণ আখতার ওই বাসভবনে থাকেন না। তবে, বিক্ষুদ্ধরা ভিসি বাংলোর প্রায় প্রত্যেকটি কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিংমেশিন, কক্ষ, লকার, জানালা ভাঙে এবং আসবাবপত্র বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়াও ভাঙচুর চালানো হয়েছে চবির পরিবহন দপ্তরে। সেখানে বাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস’সহ প্রায় ৬০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।