1. admin@banglareport24.com : admin :
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

প্রতারক মামলাবাজ, সোবহান-শাহনাজ চক্রের বেপরোয়া চাঁদাবাজী

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৫৭ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার:-

১ম পর্বে তুলে ধরে ছিলাম কথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বহুবিবাহে অবস্ত, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, প্রতারক, রাজাকারের নাতনী, বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানার তালুকের চরধনি গ্রামের মৃত শাহাদাৎ শিকদারের মেয়ে শাহনাজ পারভীন (৪৫)। প্রতারণা করাই তার মুল পেশা। এবার ২য় পর্বে প্রতারক শাহনাজের সাথে আছে ভয়ংকর আরেক প্রতারক, মামলাবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারী মো: আব্দুস সোবহান। সোবহান-শাহনাজ উভয় চাঁদাবাজ-মামলাবাজ ও প্রতারক চক্রের লিডার।

কে এই আব্দুস সোবহান? খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর জেলার, বাসন থানার ভোগড়া এলাকার মৃত হাজী মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সোবহান। দেহের গঠন অনেকটা দেখতে হিটলারের মতো ছোটখাট, কালো বর্ণের অধিকারী। বদ মেজাজী, চতুর, সাহসী এই সোবহান, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর হবে। সূত্র জানায়, আব্দুস সুবাহান ছোট থেকেই উশৃংখল এবং বদমেজাজি সব সময় মারামারি কাটাকাটি করাই তার পেশা, এলাকায় সবাই তাকে অপছন্দ করে, শুধু তার লালিত-পালিত পোষা লোক জন ছাড়া।

এমন কোন অপরাধ নেই যেটা সোহবানের নেত্বতে গাজীপুর চৌরাস্তায় সংঘটিত হয়নী। চুরি, ডাকাতি, দখল, ছিনতাই, মদ, গাজা, ধর্ষন ও চাঁদাবাজি সহও সন্ত্রাসী কাযক্রম। সূত্র জানায়, ২০১১ সাল থেকে সোবহান বাহিনী, জোর পূর্বক নুরুল হক কে ভয়ভীতি দেখাইয়া চাঁদা ও দখলের মাধ্যামে নূরুল হকের মার্কেটের প্রায় ৩০০-৩৫০ দোকান হইতে প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদা অবৈধভাবে আদায় করিয়া নেয় আর সে টাকার জোরে তাহার ক্যাডার বাহিনীদের প্রতিদিন নগদ টাকা পয়সা দিয়া শক্ত লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে, যাহাদের অধিকাংশ আগে থেকেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মদ, গাজা, ধর্ষন ও চাঁদাবাজি মামলার সাথে জড়িত। সেখানে সোবহান এতটাই শক্তিশালী যে কেউ এখানে কথা বলতে গেলে প্রথমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে পরে নামে-বেনামে একাধিক মিথ্যে মামলার হয়রানী হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।

সোবহানের লাঠিয়াল বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে অর্ধশত পোষা সাংবাদিক, আছে প্রতারক শাহনাজের মতো ৮/১০ জনের নারী বাহিনী। সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে সোবহানের পক্ষে সব সময় সাফায় গাওয়া আর নারীদের সে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করে। স্থানীয় কিছু দলীয় নেতাদের মাসিক হারে মাসুরা দিয়ে থাকে যার ফলে তারা সোবহানের অসৎ কর্মকান্ড দেখেও না দেখার মত থাকে। কোন সাংবাদিক সোবহানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিলে, মোটা অংকের টাকা দিয়ে সাংবাদিককে ম্যানেজ করে সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে আতাত করে নেয়।

আদালতে মামলা করিলে সেখানেও টাকা দিয়ে প্রতিপক্ষের উকিলকেও কিনে নেয়। সোবহান অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগের এককর্মী, দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে সে একের পর এক অপরাধ করেই চলছে। শক্তিশালী সোবহানের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারে না বিধায় দিনে দিনে সোবহান আরো হিংস্র ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। অনেক নারী কেলেংকারীর অভিযোগও আছে সোবহানের বিরুদ্ধে, অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করা, একবার জেলও খেটেছে ধর্ষণ মামলায়। গাজীপুরের প্রশাসনকে সোবহান নিজের মত করে ম্যানেজ করে রেখেছে তাই কেউ কোন অভিযোগ সোবহানের বিরুদ্ধে করতে গেলে ঊল্টো হয়রানীর শিকার হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়। আব্দুস সোবহান পোষা দুশ্চরিত্রা নারী দিয়ে সে প্রতারণার ফাঁদ পাতে, যেমন শাহনাজ নামের এক নারীকে দিয়ে সে সহজ, সরল, বৃদ্ধ, হাজী নুরুল হক (৭৭) এর সাথে প্রতারণা জাল পাতে । ভুয়া কাবিন নামা ও ভুয়া ক্ষমতা পত্র তৈরি করে, মিথ্যে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে রেখেছে। হাজী নুরুল হোক কোথাও সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা করিলে সেখানে সোবহান, শাহনাজকে স্ত্রী হিসাবে দাড়ঁ করায় এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রতিবেদন নিজের নামে নিয়ে নেয়। এদিকে শাহনাজ যে, হাজী নুরুল হকেকে কখনো দেখে নাই, কথা বলে নাই যার প্রমাণ শাহনাজ নিজেই বলে আর সে জবানের রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে। এক সময়ে খুচরা মুরগী ব্যবসায়ী থেকে বর্তমানে ৫ থেকে ৬টি বহুতল বিল্ডিং এর মালিক এই সোবহান। প্রতারণা, মাদক ব্যবসা আর চাঁদাবাজি করে সে বাগিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অপর দিকে শাহনাজও সোবহানের যোসূত্রে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিজেকে বিক্তশালী করেছে।

একসময়ে বস্তিতে বসবাস করা শাহনাজ এখন বড় ফ্ল্যাট নিয়ে একা থাকে সে ফ্ল্যাটে, এসি রুম, নামিদামী অসাসবাবপত্র দিয়ে ভরপুর তার বাসা। নিজ এলাকায় জমিজমা কিনেছে অনেক, পুকুর করেছে, গরুর খামার করছে। অভিযোগ আছে শাহনাজ নিজ এলাকায় প্রতিবেশিদের জমিজমা বেআইনি জবর দখল করে রেখেছে। এলাকায় পাইকারী মাদক বিক্রি হয় সোবহানের নেতৃত্বে। আছে দেশী-বিদেশী মিলিয়ে শখানেক অস্ত্র যা দিয়ে এলাকায় সে আধিপত্য বিস্তার করে। সোবহান এর বিপক্ষে কেউ গেলে তাকে নামে বেনামে একাদিক মামলা দিয়ে জেলে ভরে রাখে অথবা এলাকা ছাড়া করে রাখে।

মহিলা বাহিনিী দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা দেয় । এলাকাবাসীয় সোবহান, ফেসবুক সোবহান ও পোষ্টার সোবহান নামে পরিচিত, এলাকাবাসী জানায় ফেসবুক খুল্লে শুধু সোবহান ও তার ক্যাডার বাহিনীর ছবি আসে, সরকার দলীয় নেতাদের পিছনে পিছনে ছুটে বেড়ায় সোবহান । উক্ত বিষয়ে সোবহানের মুটো ফোনে কাছে জানতে চাইলে সে নিজেকে নিঅপরাধ দাবী করে ।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ বাংলার রিপোর্ট ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park