স্টাফ রিপোর্টার:-
ঈদের আনন্দে যখন নামে বিষাদ নিহত ব্যক্তিদের অনেকে শিশু–কিশোর। পানিতে ডুবেও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সুকুমার রায় তাঁর ‘হরিষে বিষাদ’পদ্যে বছরের বিভিন্ন সময়ের ছুটির সালতামামি দিতে গিয়ে লিখেছেন—‘ঈদ্ পড়েছে জষ্ঠি মাসে, গ্রীষ্মে যখন থাকেই ছুটি। ছুটির মধ্যে ছুটির এমন অবস্থা দেখে খোকা কেঁদে–ককিয়ে একাকার। তার পাওনা ছুটিটা গ্রীষ্মের ছুটির পেটে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এমন আক্ষেপ। সুকুমারের পদ্যে খোকার তো ছুটির পেটে অন্য ছুটি হারিয়ে যাচ্ছে। আর এখন তো ছুটির পেটে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা আর উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা অনেক বেশি।
কয়েক বছর ধরে চাঁদরাত থেকে আহত আর নিহতের খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরিবারের কোনো সদস্য এখন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে স্বজনদের আর স্বস্তিতে থাকার কোনো উপায় থাকে না, বিশেষ করে ঈদের ছুটির কয়েক দিন ঝুঁকিটা যেন অনেক বেশি বেড়ে যায়।
সাতক্ষীরার তালায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন (চাঁদরাত) শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে দুই ভাই ইমরান ও রিফাত ঈদের কেনাকাটা করে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরেকজন। তালার হাজরাপাড়ায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ইমরান মারা যান। ঢাকায় নেওয়ার পথে রিফাতেরও মৃত্যু হয়।