1. admin@banglareport24.com : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন এক ছাদের নিচে সব কেনাকাটা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩২ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঈদের বাকি আর মাত্র সপ্তাহখানেকের একটু বেশি। মাহে রমজান শেষে ঈদের খুশিকে ভাগাভাগি করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে সবাই। ঈদের দিনে সবাই চায় নতুন জামা, জুতা। শুধু নিজের জন্য নয় এই আনন্দ ভাগ করে নিতে হয় পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন সম্ভব হলে প্রতিবেশীর সঙ্গে। আর তাই মার্কেটগুলোতে এখন চলছে কেনাকাটার মৌসুম। রাজধানীতে আরামদায়ক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কেনাকাটা মানেই যমুনা ফিউচার পার্ক।

যুমনা ফিউচার পার্কে মঙ্গলবার প্রচুর জনসমাগম দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই শপিংমলে এক ছাদের নিচে পোশাক, গয়না, কসমেটিসক, ক্রোকারিজ, জুতা, পারফিউমসহ সব কেনাকাটা করা যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক ও ট্রেন্ডি পোশাকের সমারোহ যমুনা ফিউচার পার্ককে করেছে ক্রেতাদের ঈদ শপিংয়ের সবচেয়ে কাংক্ষিত স্থান।

এদিন সকাল থেকেই প্রচুর মানুষের আনাগোনা শুরু হয় যমুনা ফিউচার পার্কে। দুপুরের পর আরও অধিক মানুষ আসতে শুরু করেন। বরাবরের মতো শপিংমলের ফুড কোর্টে ইফতার সেরে আবার ঈদ কেনাকাটায় মেতে উঠেন অনেকে। যমুনা ফিউচার পার্কের মেট্রো ফ্যাশন, ইনফিনিটি, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, আড়ং, বিগ বস, ফ্রিল্যান্ড, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, সেলিব্রেশনস, ডিমান্ড, মাইশা ওয়ার্ল্ড, একসটাসি, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন মার্ট পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোতে এদিন প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।

রাজধানীর আরামবাগ থেকে আসা মাহিদুল বলেন, গত কয়েক বছর ধরে যমুনা ফিউচার পার্কেই কেনাকাটা করছি। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের আউটলেটগুলোতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য নিত্য নতুন পোশাক পাওয়া যায়। সেখান থেকেই পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করেছি। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব বাজেটের মানুষের জন্যই এখানে নানা পোশাক দেখলাম। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সম্মিলন ঘটাতে সমস্যা হয়নি।

এদিন বিকালে যমুনা ফিউচার পার্কের ইয়েলোর আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর ক্রেতা এসেছেন। যে যার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনছেন। মালিবাগ থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছে ডালিয়া আহমেদ ও তার পরিবার। তিনি বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের আড়ংয়ের এই আউটলেটটি বিশাল এবং কালেকশনও অনেক। ছেলেমেয়ে ও তাদের বাবার জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি।

একইসঙ্গে পহেলা বৈশাখ ও ঈদের জন্য কেনাকাটা করছি। ইতোমধ্যে কিছু পোশাক কেনাও হয়েছে। আড়ংয়ে কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় কারণ, এখানে পোশাকে দেশীয় আবহ পুরোপুরি বিদ্যমান। আর সুতির পোশাকগুলো দামেও কিছুটা কম ও আরামদায়ক।

ঈদ উপলক্ষ্যে ইয়েলোতে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ২২০০-৪০০০ টাকায়। শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৭০০-২০০০ টাকায়। ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০-১৯০০ টাকায়। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিসের দাম রাখা হয়েছে ৪০০০-৬৫০০ টাকা। ওয়ানপিস ১৭০০-৩৫০০ টাকা। শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।

ইনফিনিটিতে ঈদ উপলক্ষ্যে মেয়েদের জন্য এসেছে সালোয়ার-কামিজ। যেগুলোর দাম রাখা হয়েছে ৩৫০০-৫০০০ টাকা। আনস্ট্রিচ ড্রেসের দাম ৪০০০-৮০০০ টাকা। মেয়েদের সুতি শাড়ি ২২০০-৯০০০ টাকা। সিঙ্গেল কামিজ ১৬০০-৩০০০ টাকা, ওয়েস্টার্ন টপ ১৪৫০-২০০০ টাকা। ইনফিনিটিতে ছেলেদের জন্য নানা ধরনের পাঞ্জাবি এসেছে। সাদা, এমব্রয়ডারি এসব পাঞ্জাবির দাম পড়বে ২৫০০-৬০০০ টাকা। কে ক্রাফটের শোরুমে এসেছে বিভিন্ন রংয়ের বাহারি পাঞ্জাবি। যেগুলোর দাম পড়বে ১২০০-১৫০০ টাকা। এখানে ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়। পায়জামা পাওয়া যাচ্ছে ৭৯০-১০০০ টাকায়। ছেলেদের পোলো শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৬৯০-৮২৫ টাকায়।

মেয়েদের বাহারি ও অসাধারণ সব মটিফের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০০-৮৫০০ টাকায়। কুর্তি পাওয়া যাচ্ছে ১২০০-৫৫০০ টাকায়। সুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ২২০০-৩৫০০ টাকায়, হাফ সিল্ক ২৫৯৫-৬৫০০ টাকায়, সিল্কের শাড়ি ৭৫০০-১৫০০০ টাকায়। এখানে আরও আছে ঈদের বিশেষ আকর্ষণ ফ্যামিলি ড্রেস। পরিবারের বাবা, মা সন্তানদের জন্য একই ডিজাইনের এই ফ্যামিলি ড্রেস পাওয়া যাবে ৬৮০০-৩০ হাজার টাকায়।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ বাংলার রিপোর্ট ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park