আদালত রিপোর্টার :
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে যান তিনি।
এর আগে, গত শনিবার (১৮ মার্চ) রহমতউল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজধানীর গুলশান থানায় হাজির হয়েছিলেন শাকিব খান। তবে থানা মামলা নেয়নি। থানা থেকে আদালতে গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
পরে রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে যান তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাঁচঘণ্টা আলোচনা করেন শাকিব।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ভুয়া প্রযোজক নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাই ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাই গুলশান থানায়। কিন্তু গুলশান থানার ওসি আমার মামলা নিলেন না এবং অনেক চেষ্টার পর, অনেক বোঝানোর পরও তিনি মামলা নিলেন না। এরপর তিনি বললেন, আপনি যেখানে খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘একজন ভুয়া প্রযোজক কীভাবে আমার নামে এসব অভিযোগ করেন? তিনি তো এই সিনেমার প্রযোজক না। তাই আমি দ্রুত তার বিষয়ে খবর নিয়ে মামলা করতে যাই। আমি জানতে পারি তিনি দু-এক দিনের মধ্যে দেশ ছাড়বেন।’
এদিকে গণমাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন রহমতউল্লাহ। তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢালিউড অভিনেতাকে।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিগ্যাল নোটিশের ছবি পোস্ট করেছেন রহমতউল্লাহ। তার পক্ষে শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে রহমতউল্লার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁইয়া। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে প্রাপক লিগ্যাল নোটিশটি গ্রহণ করেছেন।