1. admin@banglareport24.com : admin :
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

ধর্মকে সামনে রেখে দুর্নীতিতে সেরা আরাভ খানের খুনের রহস্য

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
  • ৫২ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আরাভ খানের অলৌকিক উত্থান মাত্র তিন বছরে। দুবাইয়ে হাজার কোটি টাকার সম্পদ তার। কয়েকদিন আগে সেলিব্রেটিদের দিয়ে শতকোটি টাকার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করিয়েছেন। এসব ঘিরে নানা আলোচনার পর দেশে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের নিয়ন্ত্রক কারা, তা জানতে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। তাদের ধারণা, আরাভের সঙ্গে দুবাই-ঢাকা-ভারত রুটে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের যোগসূত্র রয়েছে। তাই আরাভকে সামনে রেখে পেছন থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছেন, এখন তাদের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান চলছে। ফেসবুকে ফাঁস হওয়া আরাভ ও এক প্রবাসী সাংবাদিকের কথোপকথন নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ। ওই কথোপকথনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী এক রাজনীতিক এবং পুলিশের সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। এই নামগুলো সামনে আনার নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, ‘তার স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। কেবল এটিই নয়, এখন পর্যন্ত যত অভিযোগ আছে, সব নিয়েই অনুসন্ধান চলছে। তদন্তের ক্ষেত্রে একদিকে আমরা তার অপরাধ-অপকর্ম খুঁজছি, অন্যদিকে তাকে ফেরাতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভারত, আরব আমিরাত ও ইন্টারপোলে কথা বলেছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তারাও বিষয়টি দেখছেন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুবাইয়ের একাধিক সূত্র বলছে, দুবাই-ঢাকা-ভারত স্বর্ণ চোরাচালানকারী মাফিয়ারা অনেকটা অস্পৃশ্য থাকে। তাদের বেশির ভাগের অবস্থান এখন দুবাইয়ে। বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের হয়ে কাজ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এই চক্রের অনেকেই র্স্বণ চোরাচালানে জড়িয়ে দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করা এই চক্র প্রায়ই স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তখনই তাদের অপকর্ম এবং বিপুল সম্পদের বিষয় মানুষ জানতে পারে। কারণ, এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের তথ্য ফাঁস করে চলে ফায়দা হাসিলের খেলা। আরাভের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে কি না-এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

এদিকে আরাভের সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য জানা গেছে। ডিবি সূত্র বলছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার এক ব্যক্তি ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে আরাভকে দেখে চিনতে পারেন। পরে ডিবির কাছে আরাভের বিষয়ে তথ্য দেন ওই ব্যক্তি। তিনিই প্রথম জানান, দেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলামই দুবাইয়ের আরাভ খান। পরবর্তীকালে আরাভের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে পরিচয় নিশ্চিত হন তারা। গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আরাভ কীভাবে বাংলাদেশে দুইবার ঘুরে গেলেন, সেটিও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারও গাফিলতি ছিল কি না কিংবা যতায়াতের সময় তিনি (আরাভ) বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন কি না, তাও জানার চেষ্টা করছেন। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে, ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়াও আরাভের কাছে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮নং আসামি হলেন রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ওই পুলিশ পরিদর্শক। এরপর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২০ সালে তিনি ভারতের পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। তার ভারতীয় পাসপোর্ট নং ইউ ৪৯৮৫৩৮৯। ওই বছরের ২৮ জুলাই কলকাতা থেকে ইস্যু করা পাসপোর্টে রবিউলের নাম আরাভ খান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এর আগে রবিউল ওরফে আরাভ তার নামে একজনকে আত্মসমর্পণের জন্য ভাড়া করেছিলেন। ভাড়া করা ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পণের পর ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। আরাভ এখন দুবাইয়ে আছেন।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ বাংলার রিপোর্ট ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park