1. admin@banglareport24.com : admin :
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জের সকল নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করার দাবীতে দেয়ালে ছবি এঁকে প্রতিবাদ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :

খোয়াই, সুতাংসহ হবিগঞ্জের সকল নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করার দাবীতে দেয়ালে ছবি এঁকে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবসের আগের দিন সোমবার (১৩মার্চ) হবিগঞ্জ টাউন হলের সামনে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামূল ওয়াদুদ। বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটার কিপার তোফাজ্জল সোহেল’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের নদী গুলো চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে। দখল-দূষণসহ নানাবিদ অত্যাচারে হবিগঞ্জের নদীগুলো বর্তমানে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।

একটি জাতির সভ্যতা ও অস্তিত্বের অংশ নদী যদি না বাঁচে তাহলে আমাদের সভ্যতা- অস্তিত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? হবিগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা কলকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপের ফলে নদ-নদী, খাল, জলাশয়গুলো দূষিত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে! শুরু থেকেই কলকারখানাগুলো বেপরোয়াভাবে দূষণ চালিয়ে আসছে যা সংশ্লিষ্ট গ্রামসমূহের বাসিন্দাদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর প্রত্যক্ষ আঘাত।

কলকারখানার “উৎসে বর্জ্য পরিশোধন” ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু শিল্পায়নের প্রয়োজনীয় ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি আমরা। কিন্তু দূষণ বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না, বরং দিনের পর দিন দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কৃষিজমি, খাল, ছড়া এবং নদীসহ সকল প্রকার জীবন ও জীবিকা মারাত্মক দূষণের শিকার হয়েছ।

সূতাং নদীর পানি ব্যবহারকারীরা পড়েছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। নদী ও হাওরে মাছ প্রজনন ক্ষমতা হারাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ! অথচ অনিয়ন্ত্রিত শিল্পবর্জ্য দূষণ রোধে দায়িত্বশীলরা ভূমিকা নিচ্ছেন না।

বক্তারা আরও বলেন, উজানে ভারত সরকারের পানি সমীকরণ এবং দেশের অভ্যন্তরে দখল-দূষণ,খনন না হওয়ায় খোয়াই নদী ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

বর্ষা মৌসুমে মানুষকে বন্যা আশঙ্কায় আতঙ্কে থাকতে হয়। অনিয়ন্ত্রিত এবং অপরিকল্পিত বালু মাটি উত্তোলনের ফলে নদীর তীর ঝুঁকিতে থাকে। অথচ এই নদীর উপর নির্ভর করে জেলার কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বাণিজ্যের একাংশ। হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো পুরাতন খোয়াই নদীর চিত্র। নদীর অধিকাংশ দখল ও দূষণের শিকার হয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির প্রধান আধার পুরাতন খোয়াই নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে শহরে দেখা দেয় জলবদ্ধতাসহ কৃত্রিম বন্যা। প্রায় দেড় দশক ধরে পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের আন্দোলনের ফলে পুরাতন খোয়াই নদীর একাংশের দখল উচ্ছেদ করা হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। যা পুনরায় দখলদারদের আওতায় চলে যাচ্ছে।

প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীটি কবে দখলমুক্ত করা হবে তা কেউ জানে না! সোনাই নদীর বুকে গড়ে উঠেছে বিশাল স্থাপনা। যা অবশ্যই নদীর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে সহজে দৃশ্যমান। নদী ভরাট কিংবা কোনো স্থাপনা নির্মাণ আইন ও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। নদীর বুকে স্থাপনাকে প্রাধান্য না দিয়ে, সোনাই নদীকে বাঁচানোর প্রাধান্য দিতে হবে।

নদী জীবন্ত সত্তা। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে চিহ্নিত বা দৃশ্যমান সকল বেআইনী দখলদারদের স্থাপিত সকল অবকাঠামো দখলী অবস্থান অবিলম্বে ব্যতিক্রমহীনভাবে অপসারণ করে সকল নদী দখল ও দূষণমুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। শৈল্পিক এ প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অন্তত ৩০ জন চিত্রশিল্পী দেয়ালে চিত্রাঙ্কন করেন।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ বাংলার রিপোর্ট ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park