উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ
বাহুবলে হঠাৎ মহাসড়কে উল্টে গেল যাত্রীবাহি বাস। আর এতে করে ঝড়ে যায় ৪টি তাজা প্রাণ। আহত হয় আরো অন্তত ২৫ জন। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের বাগান বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পরপর মহাসড়কের উভয় পাশে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দূর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতরা হল, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকার আব্দুল হামিদের পুত্র নাদিম হোসেন (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের সারের কোনা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র এনজিও কর্মী জামাল মিয়া (৩৪), নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাও গ্রামের বাসিন্দা এমরান মিয়া (২৫) ও অজ্ঞাত (৩৫)।
বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রজিৎ কুমার দাস জানান, হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেস বাসটি যাত্রী নিয়ে হবিগঞ্জ আসছিল। পথে মহাসড়কের বাগানবাড়ী এলাকায় পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপরই উল্টে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে ৩ যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত ২৫ জন। আহত অবস্থায় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় আরো একজন। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ, বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলেও জানান তিনি। এদিকে, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিমের তৎপরতায় রাত ৯ টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আহত যাত্রী রেজাউল করিম জানান, বাহুবল বাজার যাওয়ার রাস্তা থেকে হঠাৎ একটি মাটি বোঝাই ট্রাক মহাসড়কে উঠে আসলে বাসের চালক সংঘর্ষ এড়াতে হার্ট ব্রেক দিলে বাসটি উল্টে যায়। তবে অন্য এক আহত যাত্রী বলেন, একটি দ্রুত তগামী বাসের ধাক্কায় বাসটি উল্টে গেছে। যদিও পুলিশ দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।